১০০ গুণ জোরে শব্দ ছুটতে পারে

১০০ গুণ জোরে শব্দ ছুটতে পারে

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তার যা গতি তারও ১০০ গুণ জোরে ছুটতে পারে শব্দতরঙ্গ। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’-এ গত সপ্তাহে্র শেষে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র এ কথা জানিয়েছে।

স্বাভাবিক চাপ ও তাপমাত্রায় প্রতি সেকেন্ডে শব্দের গতি ৩৬ কিলোমিটার। আমাদের গ্রহে এটাই শব্দতরঙ্গের সর্বাধিক গতি।

আমরা জানি বিভিন্ন মাধ্যমে শব্দতরঙ্গের গতি আলাদা আলাদা। পানিতে যা, তার চেয়ে শব্দের গতি অনেক কম আমাদের বায়ুমণ্ডলে। আলোর গতিবেগও বিভিন্ন হয় মাধ্যমভেদে।

আলোর গতিবেগের চেয়ে অবশ্য অনেকটাই কম শব্দতরঙ্গের গতি। তবে দু’টিই ধ্রূবক। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বদলে যায় না। তবে এই ব্রহ্মাণ্ডে আলোর চেয়ে কোনও কিছুই বেশি জোরে ছুটতে পারে না।

শব্দতরঙ্গ আসলে অণু বা পরমাণুর কম্পন থেকে তৈরি হয়। যা বিভিন্ন মাধ্যমে হয় বিভিন্ন রকমের। তাই শব্দের গতি বিভিন্ন মাধ্যমে হয় বিভিন্ন।

শব্দের গতি নির্ভর করে দু’টি জিনিসের উপর। প্রথমত, সেটি যে মাধ্যম দিয়ে যাচ্ছে তার পরমাণুগুলি কত ভারী। দ্বিতীয়ত, সেই মাধ্যমের পরমাণু বা অণুগুলি একে অন্যের হাত কতটা শক্ত ভাবে ধরে আছে, তার উপর। এই হাত ধরাধরিকেই বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় ‘কেমিক্যাল বন্ড’।

পদার্থবিজ্ঞানী কোস্তেয়া ত্রেশেঙ্কো জানিয়েছেন, শব্দের এতটা গতি পৃথিবীতে এর আগে পরীক্ষা করে দেখা সম্ভব হয়নি। হিরাতে শব্দের গতি মাপা হয়েছিল।

গবেষকরা জানিয়েছেন, পৃথিবীতে শব্দের গতির যে ঊর্ধ্বসীমা মাপা সম্ভব হয়েছে এবার তা বিশেষ পরিস্থিতিতে ভেঙে যেতে পারে। তার জন্য প্রয়োজন বায়ুমণ্ডলের চাপের ৬০ লক্ষ গুণ চাপ। সেই চাপে কঠিন অবস্থায় থাকা হাইড্রোজেনের মধ্যে শব্দের গতির ঊর্ধ্বসীমা ভেঙে যাবে, জানিয়েছেন গবেষকরা।